বর্তমানের নাগরিক জীবনে বড় বাসা-বাড়ি পাওয়া যেন সম্ভব নয়। এই ছোট্টো বাসাকে পরিপাটি করে সাঁজিয়ে রাখলে দেখতে সুন্দর লাগবে। তবে এ সময় মনে রাখতে হবে ছোটো এই বাসাকে কিভাবে বড় করে দেখানো যায়। আর সারাদিন অফিস শেষ করে যদি নিজের বাসা-বাড়িটিকে ঘুপচির মতো লাগে তখন ক্লান্তিটা বেড়েই যাবে। তাই আজকের লেখায় তুলে ধরা হলো তেমন কিছু উপায়।
# বাড়ির ফার্নিচার পছন্দ করার ক্ষেত্রে কিছুটা বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিন। যেমন প্রথমে বড় একটি বিছানা দিয়ে আপনার বেডরুমে একটি সম্পূর্ণতার অনুভূতি তৈরি করুন। এরপর কক্ষের সঙ্গে মানানসই ছোট আকারের শেলফ ও অন্যান্য ফার্নিচার দিয়ে সাজান।
# হালকা প্রিন্ট কিংবা একরঙা পর্দা ব্যবহার করুন। এটি ছোট ঘরকে বড় দেখাতে সহায়তা করবে। পর্দা লাগানোর সময় লক্ষ্য রাখুন এটি যেন আপনার দেয়ালের রঙের সঙ্গে মিলে যায়। আর এতে কক্ষের আকার অনেক বড় মনে হবে। এছাড়া উঁচুতে পর্দা স্থাপন করে তা নিচ পর্যন্ত করে রাখলে ভালো হবে।
# ভেতরের বিভিন্ন কক্ষের মাঝের দরজা ও কাপবোর্ডের দরজা ঘরের স্থান কমিয়ে দিতে পারে। এক্ষেত্রে সমস্যা হলে দরজা সরিয়ে ফেলা যেতে পারে। বিকল্প হিসেবে স্লাইডিং দরজা ব্যবহার করুন।
# বই রাখার জন্য ফ্লোর টু সিলিং বিস্তৃত সেলফ ব্যবহার করুন। এটি আপনার সিলিংয়ের উচ্চতা বাড়ানোর অনুভূতি দেবে। এছাড়া প্রচুর জিনিসও রাখা যাবে।
# আপনার অব্যবহৃত জিনিসপত্রের ওপর নজর রাখুন। কোনো জিনিস যদি এক বছরেও ব্যবহৃত না হয় তাহলে এটি সরিয়ে ফেলুন।
# ছোট বাড়ির জন্য মাল্টিফাংশনাল ফার্নিচার একটি ভালো সমাধান। বর্তমানে বহু ধরনের মাল্টিফাংশনাল ফার্নিচার পাওয়া যায়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ভাজ করে রাখা চেয়ার, টেবিল কিংবা সোফা কাম বেড।
# রঙের ব্যবহারে সতর্ক হতে হবে। হালকা ও প্রাকৃতিক রঙের ওপর গুরুত্ব দিন। এগুলো আপনার ছোট স্থানকেও বড় দেখাবে এবং চোখের জন্য ভালো।

# কক্ষের ভেতর সূর্যের আলো প্রতিফলন ঘটাতে বড় আয়না খুবই কার্যকর। ছোট কক্ষকে এটি বড় করে দেখাবে।
# কক্ষের প্রস্থ যখন কম তখন আপনার দৃষ্টি ওপরে উঠাতেই হবে। এজন্য আপনার দেয়ালের উঁচু স্থানে ছোট ছোট কিছু ছবি ঝুলান। এতে ভিন্নধরনের অনুভূতি তৈরি হবে।

# আপনার দেয়ালের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে ফার্নিচারের রং পছন্দ করুন। ফার্নিচার সব সময় দেয়ালের সঙ্গে রাখতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। কখনো কখনো মাঝামাঝি স্থানে বসালেও তা বড় অনুভূতি তৈরি করে।
# কক্ষের সব স্থানই ব্যবহার করবেন না। কিছু খালি স্থান রাখবেন। যেমন শেলফের সবগুলো খোপ ভর্তি না করে কিছু খালি রাখুন।
# পুরনো ফার্নিচার বাড়িতে যথেষ্ট স্থান নেয়। তাই আপনি যদি আধুনিক ছোট বাড়িতে থাকেন তাহলে পুরনো ফার্নিচার বদলে নতুন ও স্থান সাশ্রয়ী ফার্নিচার কিনুন।
# ডাইনিং টেবিলে প্রচুর স্থান প্রয়োজন হয়। তাই নতুন মডেলের ডাইনিং টেবিল ব্যবহার করুন যেগুলো প্রয়োজন শেষে ভাজ করে রাখা যায় কিংবা অন্যান্য কাজে ব্যবহার করা যায়।
# জানালা খোলা রাখুন। এতে আপনার ছোট স্থানেরও আলাদা গভীরতা তৈরি হবে। ঘরের ভেতর পর্যাপ্ত সূর্যের আলোর ব্যবস্থা করুন। প্রাকৃতিক আলোবাতাসে ছোট ঘরও হয়ে উঠবে স্বাস্থ্যকর।
# ঘরে আনুন সবুজের ছোঁয়া। এজন্য যে বড় বাগান কিংবা মূল্যবান গাছ লাগাতে হবে, তা নয়। ঘরের ভেতর টবে রাখা একটি ছোট গাছই এজন্য যথেষ্ট।