মৌ-মাছির গুঞ্জনে মুখরিত চলনবিল
ঋতুর পালা বদলে শীতের আগমনী বার্তায় চলনবিলের মাঠে মাঠে এখন সৌন্দর্য্যমন্ডিত হলুদ...
বিস্তারিতআজ পর্যন্ত যতো ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণ গহ্বর বিজ্ঞানীদের চোখে ধরা পড়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে বড়ো এবং সবচাইতে দূরেরটি দেখা গেছে গত সপ্তাহে।
বলা হচ্ছে, এই কৃষ্ণ গহ্বরটি আমাদের পৃথিবী থেকে প্রায় এক হাজার তিনশো কোটি আলোক বর্ষ দূরে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই কৃষ্ণ গহ্বরটি আমাদের সূর্যের চেয়েও ৮০ কোটি গুণ বড়ো।
তারা মনে করছেন, মহাবিশ্ব সৃষ্টির হওয়ার পর অল্প সময়ের মধ্যেই এই কৃষ্ণ গহ্বরটি এতোটা বড়ো হয়ে উঠেছে। এবং এটির সৃষ্টি হয়েছিলো তখন, বিগ ব্যাং এর পর সৃষ্ট এই মহাবিশ্বের বয়স যখন ছিলো মাত্র ৬৯ কোটি বছর।
বিজ্ঞান বিষয়ক সাময়িকী নেচারে এই ব্ল্যাক হোল দর্শনের খবরটি প্রকাশিত হয়েছে। তাতে বিজ্ঞানীরা বলছেন, এর চারপাশে যা কিছু আছে তার সবই এটি গিলে খেয়ে ফেলছে। ফলে এর ভেতরে ভর জমা হতে হতে এতোটা বৃহৎ আকার নিয়েছে।
বলা হচ্ছে, এই কৃষ্ণ গহ্বরটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা গেলে বিশ্বব্রহ্মাণ্ড কিভাবে তৈরি হয়েছিলো, তারপর সেটি কি সম্প্রসারিত হয়েছে নাকি ক্রমশই সঙ্কুচিত হচ্ছে এরকম অজানা কিছু প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যেতে পারে।
এর আগে সবচেয়ে দূরের যে ব্ল্যাক হোলটি সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা জানতেন সেটি সৃষ্টি হয়েছিলো তখন যখন মহাবিশ্বের বয়স ছিলো ৮০ কোটি বছর।
ম্যান ফ্লু
পশ্চিমা বিশ্বে ফ্লু বা জ্বর সম্পর্কে একটি কথা চালু আছে- আর সেটি হলো ম্যান ফ্লু অর্থাৎ পুরুষদের জ্বর। এই কথার উৎপত্তি কোথায় বা এটি কিভাবে ও কেন তৈরি হয়েছে সে সম্পর্কে বিশদভাবে জানা না গেলেও, নতুন এক গবেষণায় এই কথাটির এক ধরনের সত্যতা পাওয়া গেছে।
কানাডায় এবিষয়ে এক গবেষণার পর বিজ্ঞানীরা বলছেন, নারীদের তুলনায় পুরুষরাই ঠাণ্ডা জ্বর বা সর্দিকাশিতে বেশি ভুগে থাকেন। এর পেছনে বিজ্ঞান-ভিত্তিক তথ্য প্রমাণও তারা পেয়েছেন। তারা বলছেন, ম্যান ফ্লু বলার মধ্যে অতিরঞ্জনের কিছু নেই। কিন্তু ম্যান ফ্লু সম্পর্কে লন্ডনের নারী ও পুরুষরা স্পষ্টভাবেই বিভক্ত। একজন পুরুষ বলছেন, ফ্লুতে আক্রান্ত হয়ে তার মরার মতো অবস্থা হয়েছিলো।
বান্ধবীকে পাশে নিয়ে একজন বলেছেন, তিনি মনে করেন যে পুরুষরাই নারীদের তুলনায় বেশি সর্দি কাশিতে ভোগেন। কিন্তু বান্ধবী বলেছেন ভিন্ন কথা। ওই নারী বলছেন, পুরুষদের এই কথাটির সাথে তিনি ঠিক একমত হতে পারছেন না। তিনি মনে করেন, পুরুষরা যতোটা না ফ্লুতে আক্রান্ত হন, তার চাইতে তারা অনেক বেশি অভিযোগ করেন।
এই গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন ডা. কাইলি সু। নিউ ফাউন্ডল্যান্ডে মেমোরিয়াল ইউনিভার্সিটির শিক্ষক তিনি। বলছেন, শ্বাস প্রশ্বাস সংক্রান্ত ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা করার ব্যাপারে পুরুষের রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থা বা ইমিউন সিস্টেম হয়তো ততোটা শক্তিশালী নয়। এর ফলে তারা খুব সহজেই সর্দি কাশি বা ঠাণ্ডা জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। অর্থাৎ পুরুষের মধ্যে অসুখে পড়ার হার বেশি।
কানাডার গবেষকদের এই আবিষ্কার স্বত্বেও বহু বিজ্ঞানী সন্দেহ পোষণ করেন যে ম্যান ফ্লু বলে কোন অসুখের আসলেই কোন অস্তিত্ব আছি কীনা। তবে হ্যাঁ, তারা বলছেন, এর অস্তিত্ব যদি থেকেও থাকে, সেটা আছে শুধুই পুরুষদের মনে।
ব্রিটেনে রয়্যাল কলেজ অফ জিপি বলছে, ম্যান ফ্লু বলে কোন কিছুর অস্তিত্ব নেই। সূত্র: বিবিসি
মোবাইল থেকে খবর পড়তে অ্যাপস ডাউনলোড করুন