মুজিববর্ষ উদযাপন করবে ইউনেস্কো
জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থা (ইউনেস্কো) আগামী বছর বাংলাদেশের সঙ...
বিস্তারিতচলচ্চিত্র তারকা দম্পতি শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের বিচ্ছেদ কার্যকর হবে কিনা তা নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে আগামী ১২ মার্চ। অপু বিশ্বাসকে তার স্বামী চিত্রনায়ক শাকিব খানের তালাকনামা পাঠানোর তিন মাস পূর্ণ হল গতকাল ২২ ফেব্রুয়ারি। গত বছরের ২২ নভেম্বর শাকিব খান মুসলিম পারিবারিক আইন-১৯৬১-এর ৭ (১) ধারা অনুসারে তালাকের নোটিশটি ডাকযোগে ডিএনসিসির কাছেও পাঠান শাকিব।
যেহেতু দুজনের মধ্যে আর সমঝোতা হয়নি তাই আইন অনুযায়ী গতকাল বৃহস্পতিবার ঢালিউডের আলোচিত দম্পতি শাকিব-অপুর বিবাহ বিচ্ছেদ কার্যকর হয়ে গেছে বলে চলচ্চিত্র পাড়ায় অলোচনা চলছে।
তবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) অঞ্চল-৩-এর নির্বাহী কর্মকর্তা হেমায়েত হোসেন বলেছেন, ‘শাকিব-অপুর তৃতীয় ও শেষ শুনানি হবে আগামী ১২ মার্চ। তালাক কার্যকরের বিষয়ে সেদিন সবকিছু চূড়ান্ত হবে।’
এদিকে প্রথমে তীব্র বিরোধিতা করলেও শাকিবের তালাক মেনে নিয়েছেন অপু। ২০০৮ সালে বিয়ে করেছিলেন ঢালিউডের এ সফল জুটি। সে সময় ধর্মান্তরিত হয়ে অপু ইসলাম নাম রেখে শাকিবকে মুসলিম ধর্মীয় রীতিতে বিয়ে করেন অপু। আব্রাম খান জয় নামের তাদের একটি পুত্র সন্তান আছে। দীর্ঘ সময় একসঙ্গে সংসার করলেও বিয়ের বিষয়টি শাকিব-অপু গোপন রেখেছিলেন। গত বছর বিয়ের খবর ফাঁস করে দেন অপু। যা শোবিজ জগতে আলোড়ন তুলেছিল। এরপর তাদের দীর্ঘ দাম্পত্যের নানা খুঁটিনাটি-মতবিরোধ সামনে এসেছে। বিয়ের খবর প্রকাশ করার পরপরই শাকিব-অপুর সম্পর্কের অবনতি হয়। যার চূড়ান্ত রূপ পায় নভেম্বরে।
শাকিব খান তার আইনজীবী শেখ সিরাজুল ইসলামের মাধ্যমে অপুর কাছে তালাকের নোটিশ পাঠান। একই সঙ্গে তিনি শাকিব খানের পক্ষে ডিনএসিসির মেয়র কার্যালয়, অপু বিশ্বাসের ঢাকার নিকেতনের বাসা এবং বগুড়ার ঠিকানায়ও তালাকের এই নোটিশ পাঠান। অপু বিশ্বাস গত ১২ ডিসেম্বর এই চিঠি হাতে পান। তালাকের নোটিশের চিঠি হাতে পাওয়ার পর গত ১২ জানুয়ারি ডিনএসিসি প্রথম সালিশি বৈঠকের আয়োজন করে। প্রথম বৈঠকে অপু উপস্থিত থাকলেও শুটিংয়ের ব্যস্ততায় তখন থাকতে পারেননি শাকিব।
১২ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না শাকিব এবং অপু। ওই সময় শাকিব শুটিংয়ে ছিলেন অস্ট্রেলিয়ায়। তবে দেশে থাকলেও বৈঠকে যাননি অপু।
মোবাইল থেকে খবর পড়তে অ্যাপস ডাউনলোড করুন