১ বাবা, ২৭ মা, ১৫০ ভাইবোনের বিশাল পরিবারের
কানাডার অন্যতম পরিচিত বহুগামী ব্যক্তি উইনস্টোন ব্ল্যাকমোর। ৬৪ বছরের এই ব্যক্তির...
বিস্তারিতমাঠের পর মাঠ জমিতে সবুজ পাতার আড়ালে হাসছে হলুদ রঙের ভুট্টা। মাথায় লাল ফুল ও গায়ে হলুদ বর্ণের এসব ভুট্টা দোল খাচ্ছে বাতাসে। চাষিদের জমিতে রোপণ করা ভুট্টা গাছে মুচা বাঁধতে শুরু করেছে। বাতাসে ভুট্টার দোল খাওয়ার সাথে চাষিরাও স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছে।
মোরেলগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর থেকে জানা গেছে, খরচ কম ও উৎপাদন বেশি হওয়ায় চাষিদের মধ্যে ভুট্টা চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন আর তাদের বেশি করে উদ্বুদ্ধ করতে হচ্ছে না। অনেক চাষি নিজে আগ্রহী হয়ে ভুট্টা চাষ করছেন।
মোরেলগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাকির হোসেন জানান, ৩-৪ বছর আগে এ উপজেলায় ভুট্টা চাষির সংখ্যা ছিল অনেক কম। ওই সময় হাতে গোণা ১০থেকে ১২ জন চাষি ভুট্টা চাষ করতো। কিন্তু সেই অবস্থায় ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে। গত মৌসুমে ভুট্টা চাষ হয়েছিল ৩০ হেক্টর জমিতে। আর এ মৌসুমে ৫০ হেক্টর জমিতে ভুট্টার আবাদ হয়েছে। গত মৌসুমের চেয়ে এ মৌসুমে ২০ হেক্টর জমিতে ভুট্টার আবাদ বেশি হয়েছে। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আরও জানান, মোরেলগঞ্জ উপজেলার বলইবুনিয়া, আলতিবুরুজবাড়ীয়া ও হোগলাবুনিয়া গ্রামের জমিতে বেশি ভুট্টার আবাদ হয়েছে।
কালিকা বাড়ী গ্রামের ভুট্টা চাষি সারাফাত আলী জানান, তিনি প্রায় ৫০ শতক জমিতে ভুট্টার আবাদ করেছেন। ৫০ শতক জমিতে ভুট্টা আবাদ করতে সার, বীজ, কীটনাশক, সেচ ও পরিচর্যা বাবদ তার ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। শতক প্রতি তিনি এক থেকে দেড় মণ করে ভুট্টা পাবেন। ফলন ভাল হলে সে হিসেবে সারাফাত আলী ৫০ শতকে কমপক্ষে ৫০ মণ ভুট্টা পাবেন। বাজারে ৬শ’ থেকে ৭শ’ টাকা মণ দরে ভুট্টা বিক্রি হয়ে থাকে বলেও জানান তিনি।
অপরদিকে দোনা গ্রামের ভুট্টা চাষি শহিদুল ইসলাম, সিরাজ উদ্দিন, আব্দুর রশিদ , আমবাড়ীয়া গ্রামের সুবাস মণ্ডল সহ একাধিক চাষি জানান, অন্যান্য ফসলের চেয়ে ভুট্টা চাষে ঝুঁকি কম। কারণ ভুট্টায় রোগ-বালাই খুব কম হয়। চারা লাগানো থেকে শুরু করে ৫ মাসের মধ্যে ভুট্টার ফলন পাওয়া যায়। খরচ বাদে প্রায় অর্ধেক লাভ থাকে। বাজার ভাল হলে লাভও বেশি হয়।
মোরেলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ অনুপম রায় বলেন, ‘ বলইবুনিয়া, হোগলাবুনিয়া ও দৈবজ্ঞহাটী এলাকায় ভুট্টার আবাদ বেশি হয়। চলতি মৌসুমে ৩৫ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। কিন্তু আবাদ হয়েছে সাড়ে ৫০ হেক্টর জমিতে। অর্থাৎ এ মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৫ হেক্টর জমিতে বেশি ভুট্টার আবাদ হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
তিনি আরও বলেন, ‘ভুট্টায় তেমন একটা রোগ-বালাই হয় না। তাই ভুট্টা চাষে ঝুঁকি কম আবার লাভও ভাল হয়। যার কারণে আগের থেকে ভুট্টা চাষে চাষিদের মধ্যে আগ্রহ বেড়েছে। এ মৌসুমে প্রায় ৪৫০ জন চাষি ভুট্টার আবাদ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, ভুট্টা চাষে আগ্রহ বাড়াতে ১৩০ জন চাষিকে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। এসব চাষিদের বিনামূল্যে ২ কেজি বীজ, ২০ কেজি ডিএপি সার ও ৩০ কেজি এমওপি সার দেওয়া হয়েছে। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ভুট্টার ওপর ৩৫টি প্রদর্শনী প্লট করা হয়েছে।
মোবাইল থেকে খবর পড়তে অ্যাপস ডাউনলোড করুন