মৌ-মাছির গুঞ্জনে মুখরিত চলনবিল
ঋতুর পালা বদলে শীতের আগমনী বার্তায় চলনবিলের মাঠে মাঠে এখন সৌন্দর্য্যমন্ডিত হলুদ...
বিস্তারিতগুয়াতেমালার ফুয়েগো আগ্নেয়গিরি বিস্ফোরণে উৎক্ষিপ্ত উত্তপ্ত ধূলি ও ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে আরো লাশ উদ্ধার করেছে উদ্ধারকর্মীরা। এই নিয়ে প্রাকৃতিক এই ভয়াবহ দুর্যোগে মৃতের সংখ্যা বেড়ে অন্তত ৬৫ জনে দাঁড়িয়েছে।
গত রোববার ভোরে অগ্ন্যুৎপাতের ফলে আকাশের ৩ হাজার ৭৬৩ মিটার উঁচুতে ছাইমেঘ, উত্তপ্ত কাদামাটি ও পাথরকণা ছড়িয়ে পড়ে। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে ৪৬ জন আহত হয়েছে। এদের অধিকাংশের অবস্থাই গুরুতর।
এছাড়াও এতে এস্কুউনটলা, সাকাটেপেকুয়েজ ও চিমাল্টেনাঙ্গো বিভাগে ১৭ লাখের বেশি লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ৩ হাজার ২৭১ জনকে অন্যত্র চলে যাবার নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং ১ হাজার ৭৮৭ জন আশ্রয় শিবিরে অবস্থান নিয়েছে।
ডিজাস্টার রিলিফ এজেন্সির মুখপাত্র ডেভিড ডি লিওন ব্রিফিংকালে বলেন, 'এই ঘটনায় অন্তত ৬৫ জন মারা গেছে।'
প্রাথমিকভাবে ২৫ জন মারা যাবার পর কয়েকঘন্টার মধ্যে মৃতের সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকে। পার্বত্য দক্ষিণাঞ্চলে উদ্ধার কার্যক্রম শুরুর পর মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে কর্তৃপক্ষ সতর্ক করেছে।
গুয়াতেমালার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার কর্মকর্তা সার্গিও কাবানাস বলেন, 'এখনও বহু লোক নিখোঁজ রয়েছেন। তবে আমরা তাদের সঠিক সংখ্যা জানি না।'
উত্তপ্ত লাভা এতো দ্রুত ওই পার্বত্য পাদদেশের বাসিন্দাদের কাছে চলে আসে যে ঘটনার আকস্মিকতায় তারা স্তম্ভিত হয়ে পড়ে। অনেককে তাদের বাড়ি ও এর আশপাশে মৃত পাওয়া গেছে।
সান মিগুয়েল লস লোটেস গ্রামের ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে অন্তত তিনটি দগ্ধ লাশ পাওয়া গেছে। গ্রামটিতে উদ্ধারকর্মী, সেনা ও পুলিশ সদস্যরা জীবিতদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে। উত্তপ্ত কাদা ও ছাইয়ের মধ্যে বহু মৃত কুকুর, মুরগি ও হাঁস রয়েছে। এগুলো থেকে এখনো ধোঁয়া উড়ছে।
প্রেসিডেন্ট জিমি মোরালেস এই ঘটনায় ৩ দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করছেন। সেইসাথে তিনি দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
মোবাইল থেকে খবর পড়তে অ্যাপস ডাউনলোড করুন