১ বাবা, ২৭ মা, ১৫০ ভাইবোনের বিশাল পরিবারের
কানাডার অন্যতম পরিচিত বহুগামী ব্যক্তি উইনস্টোন ব্ল্যাকমোর। ৬৪ বছরের এই ব্যক্তির...
বিস্তারিতবিস্ময় বালক। মাত্র ১৫ বছর বয়সেই পিএইচডি'র করতে যাচ্ছে ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন কিশোর। স্কুল ও কলেজের পড়াশোনার পাট চুকিয়ে এখন ডক্টরেটের প্রস্তুতি নিচ্ছে এই কিশোর। তিনি হলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন কিশোর তানিষ্ক আব্রাহাম।
সম্প্রতি ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক স্তরের পরীক্ষায় পাশ করেছে তানিষ্ক। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়েই গবেষণারও সুযোগও পেয়েছে। আগামী ৪-৫ বছরের মধ্যেই এমডি ডিগ্রি পেতে চলেছে সে। সঙ্গে চলবে পিএইচডি'র কাজও।
বিস্ময় বালকের মা তাজি আব্রাহাম একজন ডক্টরেট পশু চিকিৎসক। বাবা বিজৌ আব্রাহাম একজন তথ্যপ্রযুক্তিবিদ। ভারতের কেরালার বাসিন্দা আব্রাহাম পরিবার দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছে। সেই পরিবারের ছেলে তানিষ্ক ছোটবেলা থেকে প্রতিভাবান। ছেলে যে প্রতিভাবান হবে মা তাজি তা টের পেয়ে যান ১০ বছর আগে নার্সারিতে পড়ার সময়।
নার্সারিতে পড়ার সময়ই উপরের ক্লাসের অংক মুহূর্তেই সমাধান করে দিত তানিষ্ক। এই দেখে অভিভাবকরা তাকে অনলাইনে কলেজে পড়ার সুযোগ করে দেন। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত একটি প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে ক্যালকুলাসের কঠিন অংক সহজেই সমাধান করে ফেলে সে। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। সাতবছর বয়সেই তিনটি কলেজে ডিগ্রি কোর্সে ভর্তি হয়ে যায় সে। কলেজের পড়াশোনা শেষ হলে পরের গন্তব্য ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। সেখান থেকে বায়োকেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনার পাট টুকিয়ে এবার পিএইচডি করবে তানিষ্ক। একই সঙ্গে চলবে গবেষণার কাজও।
এই বিস্ময় প্রতিভা ইতিমধ্যেই আবিষ্কার করেছে এমন একটা যন্ত্র, যে যন্ত্রের মাধ্যমে পুড়ে যাওয়া রোগীকে স্পর্শ না করেও তার হৃদযন্ত্রের স্পন্দন পাওয়া যায়।
তানিষ্ক জানায়, '১৫ বছরে পিএইচডি শুরু করে দেওয়ায় সে অত্যন্ত খুশি।'
ক্যানসার জিন নিয়ে পিএইচডি শুরু করতে চলেছে তানিষ্ক। ক্যানসারের চিকিৎসার কোনও সমাধান খুঁজে বের করাই তার গবেষণার একমাত্র লক্ষ্য বলে উল্লেখ করেন তানিষ্ক।
মোবাইল থেকে খবর পড়তে অ্যাপস ডাউনলোড করুন