১ বাবা, ২৭ মা, ১৫০ ভাইবোনের বিশাল পরিবারের
কানাডার অন্যতম পরিচিত বহুগামী ব্যক্তি উইনস্টোন ব্ল্যাকমোর। ৬৪ বছরের এই ব্যক্তির...
বিস্তারিতআর মাত্র কদিন পর ঈদুল আযহা (কুরবানির ঈদ) তাই গরু মোটাতাজাকরণ প্রক্রিয়া নিয়ে ডেইরী ফার্মগুলো ব্যস্ত সময় পার করছে । দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলায় প্রায় দেড় শতাধিক ডেইরী ফার্ম রয়েছে । এই ডেইরী ফার্মগুলোতে ষাঁড় মোটাতাজাকরন ও গাভী পালন করা হয় । কুরবানির ঈদকে লক্ষ্য রেখে বাড়ীগুলোতেও গরু মোটাতাজাকরণ করা হয় । উপজেলার কুরবানির পশুর চাহিদা মিটিয়ে রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় কুরবানির পশুর চাহিদা মিটিয়ে আসছে গো-খামারিরা।
অল্প সময়ে কম পরিশ্রমে ষাঁড় মোটাতাজাকরণ লাভজনক হওয়ায় অনেক বেকার যুবক ডেইরী ফার্মের পাশাপাশি হোল্ডিং বাড়ীতে এই গরু পালন করছে । একদিকে যেমন নিজের বেকারত্ব দূর হচ্ছে অন্য দিকে দেশীয় আমিষের চাহিদা পূরণ হচ্ছে । উন্নত জাতের গরুর পালনের পাশাপাশি দেশীয় প্রজাতির গরুর মোটাতাজাকরণ করা হচ্ছে । কাচা ঘাস, চপর, বুসি, আকারী ,খুদি চালের ভাত, ফিট , ভুট্টার গুড়া ,শুকনো খড়সহ ভিটামিন , মিনারেল এবং শর্করা জাতীয় খাবার সরবরাহ করা হয় ।
এদিকে বাজার থেকে ছোট আকারের ষাঁড় ক্রয় করে আনার পর লিভারমিজল, ট্রাইক্ল্যাবেন্ডাজল, এলবেন্ডাজল, ফেনবেন্ডাজল, নাইটসিনিল গ্রুপের কৃমিনাশক ঔষধ ব্যবহার করা হয় । এরপর নিয়মিত গো খাবার ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা এবং নিয়মিত গোসল করানো হয়। চার থেকে ছয় মাস পালন করার পর গরুর মোটাতাজাকরণ সম্পূর্ণ হয় । বিভিন্ন ফার্মে গরুর ক্রেতারা তাদের ইচ্ছামত গরু দেখে গরু ক্রয় করতে পারে । এ ছাড়াও হোল্ডিং বাড়ীতে ক্রেতারা গিয়ে গরুর ক্রয় করে নতুবা পার্শ্ববর্তী হাটেও গরু বেচাকেনা করা হয় ।
উপজেলার পশু সম্পদ কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন এলাকায় পশু চিকিৎসকেরা গরুর খামারিদের খামারে গিয়ে চিকিৎসা সেবা প্রদান করায় এই এলাকায় গরু মোটাতাজাকরণ গো খামারের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে । ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে গো মোটাতাজাকরণ খামারের শ্রমিকেরা ব্যস্ত সময় পার করছে । গরু পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা রাখাসহ সুষম খাবার সরবরাহ করছে শ্রমিকেরা । গরুর ব্যবসায়ীরা ডেইরী ফার্ম থেকে গরু ক্রয় করে বিভিন্ন হাট বাজারে নিয়ে যায় । সেই সাথে পশু চিকিৎসক দ্বারা গরু পরীক্ষা করে সুস্থ ,সবল , গরু সরবরাহ করার চেষ্টা করে ব্যবসায়ীরা । কুরবানি উপলক্ষে ৪ থেকে ৬ মাস আগে থেকে গরু মোটাতাজাকরণ প্রক্রিয়া হাতে নেওয়া হয় । এরপর কুরবানির ৪/৫ দিন আগ থেকে বিক্রি করে দেওয়া হয় । হোল্ডিং বাড়ীতে গরুর মোটাতাজাকরণ কাজে বাড়ীর সকল সদস্যরা সহযোগিতা করে থাকে । এখানেও ৪/৫ মাস আগে ষাঁড় জাতীয় ছোট আকৃতির গরু ক্রয় করে বাড়ীতে আনার পর পালন করে । কুরবানির ঈদের আগে বাড়ী থেকেও গরু বিক্রি হয়ে যায় ।
উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ভেটেরিনারি সার্জন বিপুল কুমার চক্রবর্তী জানান, উপজেলা পশু সম্পদ কর্মকর্তাদের সহযোগিতা ও পরামর্শে গরু মোটাতাজাকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। এই উপজেলায় এবারে প্রায় ৯ হাজার গরু মোটাতাজাকরণ করা হয়েছে । শুধুমাত্র সুষম গো খাবার সরবরাহ করে এই অঞ্চলের গরু মোটাতাজাকরণ করার কারণে কুরবানির পশুর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে । সেই সাথে স্বল্প পুঁজিতে হোল্ডিং বাড়ীতে গরু মোটাতাজাকরণ করে নিজেরদের ভাগ্যের পরিবর্তন করছে অনেক বেকার যুবক।
মোবাইল থেকে খবর পড়তে অ্যাপস ডাউনলোড করুন