১ বাবা, ২৭ মা, ১৫০ ভাইবোনের বিশাল পরিবারের
কানাডার অন্যতম পরিচিত বহুগামী ব্যক্তি উইনস্টোন ব্ল্যাকমোর। ৬৪ বছরের এই ব্যক্তির...
বিস্তারিতনীল আকাশজুড়ে খণ্ড খণ্ড অলস মেঘের নিরুদ্দেশ যাত্রা। রোদের ঝলকানির পাশেই মেঘের ছায়া। মেঘ আর রোদের কানামাছি খেলার মাঝে বৃষ্টিও অংশ নিচ্ছে। মনে হয় নদের পাড় ধরে কাশবন আর নীল স্বচ্ছ পানির মিলনমেলা।
ঋতু অনুসারে ভাদ্র-অশ্বিন মাস জুড়ে শরৎকালের রাজত্ব। নিকট অতীতেও ময়মনসিংহে দেখা গেছে, শরৎকাল এলেই ঝোপ-ঝাড়, রাস্তা-ঘাট ও নদীর দুই ধারসহ আনাচে-কানাচে কাশফুলের মন মাতানো নাচানাচি।
শরৎ ঋতুতে দৃষ্টিনন্দন ময়মনসিংহ ব্রহ্মপুত্রের কাশফুলের অপার সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলেছিলেন খ্যাতনামা চিত্রশিল্পী জয়নুল আবেদীন তার চিত্রকর্মে।
জানা যায়, কাশ গাছের সৌন্দর্যের কথা সবাই জানলেও এর বহুবিধ ব্যবহারের কথা জানে না অনেকেই। গ্রাম এলাকার জ্বালানি ও কম দামে পানের বরজের ছাউনি হিসেবে কাশের ব্যবহার হয়ে আসছে বহু বছর ধরে।
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকদের মতে, কাশফুলের বেশ কিছু ঔষধি গুণ রয়েছে। যেমন- পিত্তথলিতে পাথর হলে নিয়মিত গাছের মূলসহ অন্যান্য উপাদান দিয়ে ওষুধ তৈরি করে পান করলে পিত্তথলির পাথর দূর হয়। কাশমূল বেটে চন্দনের মতো নিয়মিত গায়ে মাখলে গাত্র দুর্গন্ধ দূর হয়। এছাড়াও শরীরে ব্যথানাশক ফোঁড়ার চিকিৎসায় কাশের মূল ব্যবহৃত হয় ।
দু:খের বিষয় সাম্প্রতিক সময়ে কমেছে কাশবন, কমে আসছে ব্রহ্মপুত্র নদীপাড়ে কাশবন দেখতে আসা দর্শনাথীর। চর এলাকায় জমি চাষাবাদ ও ঘর-বাড়ি নির্মাণের কারণে বিলুপ্তির পথে ব্রহ্মপুত্র নদীর তীরের প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা কাশবনের। নদীর তীরে আগের মত সারিবদ্ধ কাশবন চোখে পড়ে না । তারপরও যেটুকু আছে তা দেখেই মুগ্ধ হন ময়মনসিংহের দর্শনাথীরা।
নাগরিক ব্যস্ততার মাঝেও একটু সময় পেলে ময়মনসিংহ শহর এলাকার লোকজন ঘুরতে আসেন ব্রহ্মপুত্রের এই কাশফুলের রাজ্যে। এখানকার বাসিন্দা আশিক হোসেন জানান, শরতের এই সময়টাতেই কাশফুল দেখা যায়। সেপ্টেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে অক্টোবরের শেষ পর্যন্ত কাশফুল থাকে। তবে বছরের এ (অক্টোবরের শুরু থেকে ১৫দিন) সময়টা সবচেয়ে সুন্দর থাকে।
সকালে হাটতে আসা ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম রাজিব বলেন, ব্রহ্মপুত্রের নীল স্বচ্ছ পানি আর কাশফুলগুলো মাথা নুয়ে ঘুরতে আসা দর্শনাথীদের স্বাগত জানায়। বাড়ি নির্মাণের জন্য ফেলে রাখা বালুর মধ্যে গুচ্ছ গুচ্ছ কাশফুলের গাছগুলোকে দেখে মনে হয় ফুলগুলো সেজে আছে শুধু আনন্দ দেওয়ার জন্যই।
মোঃ মেরাজ উদ্দিন বাপ্পী, ময়মনসিংহ।
মোবাইল থেকে খবর পড়তে অ্যাপস ডাউনলোড করুন