১ বাবা, ২৭ মা, ১৫০ ভাইবোনের বিশাল পরিবারের
কানাডার অন্যতম পরিচিত বহুগামী ব্যক্তি উইনস্টোন ব্ল্যাকমোর। ৬৪ বছরের এই ব্যক্তির...
বিস্তারিতমালদ্বীপস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস বাংলাদেশের সমৃদ্ধশালী ইতিহাস ও মুখরোচক রন্ধনশিল্প প্রদর্শনের জন্য এই প্রথমবারের মত “বাংলাদেশী ফুড ও কালচারাল ফেস্টিভ্যাল-২০১৮” পালন করেছে।
গত ০৯ নভেম্বর ২০১৮ তারিখ উক্ত বাংলাদেশী ফুড ও কালচারাল ফেস্টিভ্যাল-২০১৮” উদযাপন করা হয়। পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত ও তর্জমার মাধ্যনে অনুষ্ঠান শুরু করা হয়। পরবর্তীতে মালদ্বীপ ও বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত পর্যায়ক্রমে পরিবেশন করা হয়।
অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃক প্রবাসী বাংলাদেশীদের জন্য আয়োজিত বিনামূল্যে ইংলিশ স্পিকিং কোর্স-এ উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সনদ প্রদান করা হয় এবং কোর্সটি পরিচালনাকারী শিক্ষক ও শিক্ষিকাদেরকে দূতাবাসের পক্ষ থেকে উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়।
বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) জনাব টি.কে.এম. মোশফেকুর রহমান-এর বক্তৃতার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়। তিনি বাংলাদেশের সাম্প্রতিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও বাংলাদেশী রন্ধনশিল্প ভিত্তিক একটি তথ্যবহুল বক্তৃতা প্রদান করেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সামগ্রিক উন্নতি ও অগ্রগতি বিষয়ে একটি প্রামান্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
এরপর অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মান্যবর রাষ্ট্রদূত রিয়ার এডমিরাল আখতার হাবীব এক জ্ঞানগর্ভ বক্তৃতা প্রদান করেন। তিনি তার বক্তৃতার প্রথমে ইংলিশ স্পিকিং কোর্সে উত্তীর্ণ সকলকে অভিবাদন জ্ঞাপন করেন ও প্রবাসে ইংরেজি ভাষার গুরুত্ব তুলে ধরেন। পরবর্তীতে তিনি বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি, সমৃদ্ধশালী ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি বিষয়ে মূল্যবান বক্তৃতা প্রদান করেন।
পরবর্তীতে মান্যবর রাষ্ট্রদূত বিভিন্ন ফুড স্টল উদ্বোধন ও পরিদর্শন করেন। উল্লেখ্য, বাংলাদেশী ফুড ও কালচারাল ফেস্টিভ্যালে প্রবাসী বাংলাদেশী ব্যবসায়ীবৃন্দ ও বাংলাদেশ দূতাবাস বিভিন্ন ষ্টল স্থাপন করে। এ সকল ষ্টলে বিভিন্ন কোম্পানী তাদের আমদানীকৃত বাংলাদেশী পণ্য ও খাদ্যসামগ্রী প্রদর্শন করে। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার প্রদর্শনের ব্যবস্থাও করা হয়।
উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠান/কোম্পানীসমূহের মধ্যে ছিল ক্যাফে ১৯৭৯, ফাহিম ক্যাফে, বুরুযু কেটারিং, রাহাবালা ক্যাফে, মিয়ানয্ ফুড, ক্যাফে টেন থাউজেন্ডস, লাভেন্দর রেস্টুরেন্ট, ক্যাফে ডাউনটাউন ইত্যাদি।
বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃক বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্প, কারুশিল্প, মৃৎশিল্প প্রদর্শন, দূতাবাসের সামগ্রিক সেবা কার্যক্রম বিষয়ক তথ্য প্রদান এবং দেশীয় খাবারের ফুড কর্ণার এবং মেহেদি ডিজাইন-এরূপ ৪টি সুসজ্জিত ষ্টল মেলা কেন্দ্রে স্থাপন করা হয়। ফেস্টিভ্যাল চলাকালীন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বাংলাদেশের উন্নয়ন ভিত্তিক বিভিন্ন প্রামান্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী, গণ্যমান্য মলদ্বীভিয়ানসহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ ও অন্যান্য দেশের নাগরিকগণ ফেস্টিভ্যালে উপস্থিত ছিলেন। মেলায় উপস্থিত সকলেই বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃক ভিন্নমাত্রার এ ধরণের উন্নয়ন মেলা আয়োজনের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
আল মামুন
মালদ্বীপ প্রতিনিধি
মোবাইল থেকে খবর পড়তে অ্যাপস ডাউনলোড করুন