মুজিববর্ষ উদযাপন করবে ইউনেস্কো
জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থা (ইউনেস্কো) আগামী বছর বাংলাদেশের সঙ...
বিস্তারিতডায়াবেটিস রোগীরা সব মৌসুমেই মেনে চলেন খাবার তালিকা। তবে শীতকালে অনেক ফল, সবজি এবং মশলা পাওয়া যায় যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এসব ফল সবজির পুষ্টি উপাদান রক্তের সুগারের ওঠানামা নিয়ন্ত্রণ করে আপনাকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। তাই শীতের মৌসুমে ডায়াবেটিস রোগীদের খাবার তালিকায় রাখতে পারেন এ খাবারগুলো।
পেয়ারা:
এই ফলে প্রচুর ফাইবার থাকে। অনেকের হজম হতে দীর্ঘ সময় লাগে, যার ফলে খাদ্য অবিলম্বে ভেঙে যায় না এবং রক্ত শর্করা হঠাৎ করে বৃদ্ধি হওয়া প্রতিরোধ করে। পেয়ারা কম গ্লাইসেমিক সূচক যুক্ত। গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (জিআই) ৫৫-এর নিচে এমন খাবার খেতে পরামর্শ দেওয়া হয় ডায়াবেটিস রোগীদের।
কমলা:
আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশনের মতে, পাতিলেবু, কমলালেবুর মতো সাইট্রাস ফলগুলো ‘ডায়াবেটিস সুপারফুডস’, যা আপনার রক্তের শর্করার মাত্রা পরিচালনা করার জন্য ডায়েটে যোগ করা উচিত। কমলার গ্লাইসেমিক সূচকও কম আছে; আপনি সালাদে তাদের যোগ করতে পারেন, রস করে বা কাঁচাও খেতে পারেন।
গাজর:
শীত মৌসুমের অতি প্রচলিত ও পুষ্টি-ঘন সবজি গাজর। গাজরে ডায়েটরি ফাইবার থাকায় তা রক্ত প্রবাহে চিনিকে ধীরে ধীরে মুক্তি দেয়। গাজরের গ্লাইসেমিক সূচক খুব কম।
দারুচিনি:
ডায়াবেটিস ডায়েটের একটি চমৎকার উপাদান দারুচিনি। এটি রক্তে গ্লোকোজ এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের (এক ধরনের চর্বি) মাত্রা স্বাভাবিক করতে সহায়তা করে, ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে। ডায়াবেটিস রোগীরা সকালে দারুচিনি ভেজানো পানি খেতে পারেন।
লবঙ্গ:
লবঙ্গ অ্যান্টি-প্রদাহজনক, অ্যানালজেসিক এবং পাচক স্বাস্থ্যের উপকারি কিছু তেলে সমৃদ্ধ। এছাড়াও এই মশলা রক্তে শর্করার ওঠানামা এবং ইনসুলিন উৎপাদনে যত্ন নেয়। এছাড়া লবঙ্গের নির্যাস ইনসুলিনের স্রোত বৃদ্ধি করে এবং শরীরে ইনসুলিনের প্রতিক্রিয়া বাড়ায়।
মোবাইল থেকে খবর পড়তে অ্যাপস ডাউনলোড করুন