১ বাবা, ২৭ মা, ১৫০ ভাইবোনের বিশাল পরিবারের
কানাডার অন্যতম পরিচিত বহুগামী ব্যক্তি উইনস্টোন ব্ল্যাকমোর। ৬৪ বছরের এই ব্যক্তির...
বিস্তারিতখামে ভরা কাগজের চিঠির জন্য মানুষ ডাকঘরের সামনে অপেক্ষা করতো ঘণ্টার পর ঘণ্টা। কখন আসবে প্রিয়জনের চিঠি। রানীশংকৈল উপজেলায় ডাকঘরের অধিকাংশ ডাকঘর এখনো পাকা ভবনে শোভা পাচ্ছে। সম্প্রতি সোলার প্যানেল স্থাপন ও আসবাবপত্র নতুন করে তৈরি করা হলেও দাফতরিক কোনো কাজকর্ম তেমন নেই বললেই চলে। প্রতিটি ডাকঘরে একজন মাষ্টার, ডাক পিয়ণ। তবে তারা যে বেতন পান তা দিয়ে ঠিকমত সংসার চালাতে পারেন না এমন অভিযোগও রয়েছে।
জেলা ও উপজেলার ডাকঘরগুলোর স্বাভাবিক কার্যক্রম চললেও গ্রাম্য ডাকঘর গুলো কোনমত দিন কাটছে। রানীশংকৈল উপজেলা ডাকঘরের পোস্ট মাস্টার মোস্তফা আলম জানান দেশ ডিজিটাল হয়ে গেছে এখন অনলাইনে সব কাজ। তবে ডাক বাক্সে চিঠি আসে না,কোন কোন দিন এক দুইটা পাওয়া যায়। অনলাইনের মাধ্যমে টাকা-পয়সা আদান-প্রদান হয়। অফিসের বাইরে একজন বলেন , মোবাইল ফোন থেকে শুরু করে ই-মেইল, ইন্টারনেট, ফেসবুক, ইমো, ভাইবার, মেসেঞ্জারসহ প্রযুক্তির কত রকমের সুবিধা এখন সবার জন্য। শহরের চেয়ে খুব একটা পিছিয়ে নেই গ্রাম। কারণ এখন সবকিছুই ডিজিটাল হয়েছে। দেশ এখন এগিয়ে যাচ্ছে। হাতের কাছে মানুষ অনেক সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে। সরকারি ডাক বিভাগের পাশাপাশি বেসরকারি কুরিয়ার সার্ভিসে চিঠিপত্র ও টাকা-পয়সা আদান-প্রদান করতে পারছে।
এ আধুনিক সমাজে মানুষ এখন প্রবাসী স্বজনদের সঙ্গে কিংবা প্রিয়জনের যোগাযোগের সুযোগটা যখন ইচ্ছে তখনই অনলাইনে উপভোগ করেছে। ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার ডাকঘর গুলোর সবকটিতেই নাজুক অবস্থা।উপজেলার প্রধান ডাকঘরটিতে সাইনবোর্ডটিও নেই। কর্তাবাবুরা চা পান খেয়ে কিংবা গল্প গুজব করেই সময় কাটান প্রায়। সময়ের বিবর্তনে আজ ডাকঘর গুলো অনেকটাই কোনমত দিনানিপাত করছে অবহেলায়। এক সময় এ ডাকঘরগুলো থাকতো প্রানবন্ত ও মুখরিত। রানার কিংবা ডাক পিয়নের অপেক্ষায় হাজার হৃদয়ের মানুষের মানুষগুলো প্রান ফিরে পেতো।
রাণীশংকৈলের ডাকঘরের পাশ দিয়ে যেতেই চোঁখে পরে মরিচাপড়া ডাকবক্সটির দিকে। অবহেলায় মরিচিকায় ক্ষয়ে যাওয়া নোংড়া ডাকবাক্সটি মহাসড়কের পাশে অবহেলায় দাঁড়িয়ে আছে।হয়ত কারন একটাই, তা হলো তার কছে আর চিঠি পরেনা।
শফিকুল ইসলাম শিল্পী, রানীশংকৈল প্রতিনিধি।
মোবাইল থেকে খবর পড়তে অ্যাপস ডাউনলোড করুন