১ বাবা, ২৭ মা, ১৫০ ভাইবোনের বিশাল পরিবারের
কানাডার অন্যতম পরিচিত বহুগামী ব্যক্তি উইনস্টোন ব্ল্যাকমোর। ৬৪ বছরের এই ব্যক্তির...
বিস্তারিতমাছে-ভাতে বাঙালির জীবনে মাছ যখন হারিয়ে যেতে বসেছে তখন দেশের বিল আর খালে মাছ ধরা উৎসবের খবর অনেকটাই রূপকথার গল্পের মতন।
তবুও এক সময়ের বহুল প্রচলিত উৎসবটি এখনও যে একেবারে হারিয়ে যায় নি তাই বা কম কি! অবশ্য সার্বিক পরিস্থিতিতে বিলে মাছ ধরা উৎসব অনেকের কাছেই মাছের জীব-বৈচিত্রের জন্য একটি হুমকি স্বরূপও মনে হতে পারে, কিন্তু বাপ-দাদার সময় থেকে চলে আসা এই উৎসব নিশ্চিতভাবেই ততদিন চলবে যতদিন মাছ প্রাপ্তির খাতা শূন্য না হয়।
প্রধানত ছিটকি আর টেলা জাল নিয়ে মাছ ধরায় নেমে পরে গায়ের শত-শত ছেলে, বুড়ো, যুবক। সাথে থাকে খলুই হাতে ছোট্র শিশুরাও। অনেকে আবার ছিটকির সারির পেছনে পেছনে টেলা জাল হাতে নিয়ে নেমে পড়ে।
দিন শেষে কই, মাগুর, পুটি, শিং, চিংড়ি, পুঁটি মাছ সহ হরেক রকম মাছে ভরে উঠে খলুই। সারাদিনের কাদা-পানি মাখা মানুষটিকে চেনাই দায় হয়ে পড়ে। এ নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে পরিচিতজনদের মাঝে আর বাড়ি ফিরে নারী-মহলে চলে হাসি-ঠাট্টা আর রসিকতা। এভাবেই শেষ হয় দিনব্যাপী মাছ ধরা উৎসব।
এরই ধারাবাহিকতায় হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের নালুয়া চা বাগানের ডুলনা বাংলা বিলে মাছ ধরার উৎসব জমে উঠে। রবিবার (৮ই মার্চ) ভোর রাত থেকে মাছ ধরতে গায়ের শত-শত লোকজন জাল হাতে নিয়ে আসতে থাকে।
প্রতি বছরের মত এবারও চা শ্রমিক এবং আশ-পাশের লোকজন জড়ো হয়ে মাছ ধরতে আসেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য নটবর রোদ্রপাল জানান, ডুলনা বাংলা বিলে এবার কই, মাগুর, পুটি, শিং, চিংড়িমাছ সহ অনেক প্রজাতির মাছ পাওয়া গেছে। শত-শত মানুষের ভিড়ে এক মিলন মেলায় পরিনত হয় প্রতি বছর।
মোবাইল থেকে খবর পড়তে অ্যাপস ডাউনলোড করুন