আরও এক মহামারির আশঙ্কা, আফ্রিকায় জন্ম নিচ্ছে নতুন...
আরও একটি মহামারি তোলপাড় করতে পারে গোটা বিশ্বকে এমন এক আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন ই...
বিস্তারিতভাইয়ের বাড়ির এক কোনে একটি ঘুরে থাকা সোনাবানের জন্য ঘর তৈরি করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহ মো. শামসুজ্জোহা।
'পান্তা খেয়ে রোজা রাখছেন সোনাবান' এই শিরোনামে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে সংবাদটি নজরে আসে শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ মো. শামসুজ্জোহার। তিনি সোনাবানের জন্য ঈদ উপহার নিয়ে চলে যান সেই ছোট্ট কুঁড়েঘরে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে মুরগি, চাল, আলু, ডাল, আটা, তেল, সেমাই, চিনি নিয়ে ইউএনও হাজির হন সোনাবানের সেই ছোট্ট কুঁড়েঘরে।
ইউএনও শাহ মো. শামসুজ্জোহা জানান, 'পান্তা খেয়ে রোজা রাখছেন সোনাবান' শিরোনামে নিউজটি আমার হৃদয়কে ব্যাপকভাবে নাড়া দেয়। সঙ্গে সঙ্গে সোনাবানের জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় ও ঈদ সামগ্রী তাকে পৌছে দেওয়া হয় এবং তার সম্পর্কে সকল খোঁজ খবর নেওয়া হয়েছে। সরকারি অনুদানে একটি ঘর তৈরি করে দেওয়াসহ অন্যান্য সরকারি সুযোগ-সুবিধা দেওয়ারও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউএনও শাহ মো. শামসুজ্জোহার সহধর্মীনী ডা. সেতারা লাবনী, লালন, হাবিব।
এর আগে সোনাবানের পাশে দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য প্রফেসর মেরিনা জাহান কবিতা।
উল্লেখ্য, বিশ বছর আগে স্বামী মারা গেছেন সোনাবান খাতুন ডুকলির (৭০) । অন্যের বাড়িতে কাজ করে ৫ মেয়ে ও এক ছেলেকে বড় করেছেন। মেয়েদের বিয়ে হয়েছে। ছেলে তাঁত শ্রমিক বিয়ে করে শ্বশুর বাড়িতে থাকে। মায়ের কোন খোঁজ নেয়না ছেলে।স্বামী মারা যাওয়ার পর সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর পৌর এলাকার বাড়াবিল মধ্যপাড়া ভাইয়ের বাড়িতে একটি কুঁড়েঘরে বসবাস করছেন সোনাবান।
সোনাবানের স্বামী মো. আয়নাল পেশায় ছিলেন তাঁত শ্রমিক। টিভি রোগে তিনি ২০ বছর আগে মারা যায়। তারপর থেকেই শুরু হয়েছে সোনাবানের কষ্টের জীবন।
স্বামীর মৃত্যুর পর শ্বশুর বাড়ি ছেড়ে সোনাবান আশ্রয় নেন ভাইয়ের বাড়িতে । সেখানেই ছোট্ট একটি কুঁড়েঘরে তার বসবাস।
মোবাইল থেকে খবর পড়তে অ্যাপস ডাউনলোড করুন