১ বাবা, ২৭ মা, ১৫০ ভাইবোনের বিশাল পরিবারের
কানাডার অন্যতম পরিচিত বহুগামী ব্যক্তি উইনস্টোন ব্ল্যাকমোর। ৬৪ বছরের এই ব্যক্তির...
বিস্তারিতজয়পুরহাটে শিশু অপহরণ করে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ৫ আসামিকে যাবজ্জীবন ও মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।
সোমবার দুপুরে জয়পুরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ রুস্তম আলী এ রায় দেন। এছাড়াও বিচারক মামলার পলাতক এক আসামীর ৫ লাখসহ অন্যদের ৩ লাখ টাকা করে মোট ১৭ লাখ টাকা জরিমানারও আদেশ দিয়েছেন। অনাদায়ে আরও ২ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হবে।
আসামীরা হলেন, পাঁচবিবি উপজেলার রশিদপুর মোলান গ্রামের নীরেন্দ্রনাথ সরকারের ছেলে উত্তম কুমার সরকার (২৯), একই গ্রামের মৃত শুকনা চন্দ্র বর্মনের ছেলে বীরেন চন্দ্র বর্মন ওরফে বিরেশ চন্দ্র বর্মন (৩৮) ও মৃত শশোধর সরকারের ছেলে সন্তোষ সরকার ওরফে টেপলো (২৮), একই উপজেলার বিনধারা গ্রামের মৃত মমতাজ উদ্দিনের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে রাব্বু (৩৮), একই গ্রামের আব্দুল ওহাব মন্ডলের ছেলে ওবায়দুল ইসলাম (২৫)। এদের মধ্যে উত্তম কুমার সরকার জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছেন। তার অনুপস্থিতিতে বিচারের রায় দেওয়া হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২২ ডিসেম্বর দুপুরে পাঁচবিবি উপজেলার রশিদপুর মোলান গ্রামের পরেশ চন্দ্রের আড়াই বছরের শিশুকন্যা আরাধা রানী বাড়ির পাশে খেলাধুলা করার সময় নিখোঁজ হয়। পরে শিশুটির বাবা পরেশ চন্দ্র ওই দিনই পাঁচবিবি থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা করেন। মুক্তিপণ আদায়ের জন্য শিশুটিকে ২২ ডিসেম্বর দুপুরে অপহরণের পর মুখ ও হাত স্কচটেপ দিয়ে বেঁধে আসামি বিরেশ চন্দ্রের বাড়িতে বাক্সবন্দি করে রাখা হয়। পরে সেখানেই শিশুটি মারা গেলে ২৪ ডিসেম্বর গভীর রাতে শিশুটির মরদেহ বাড়ির অদূরে একটি পুকুর পাড়ে চাপা দিয়ে তারা পালিয়ে যায়। পরে ২৫ ডিসেম্বর ভোরে রশিদপুর মোলান বাজারসংলগ্ন একটি পুকুর পাড়ে মাটির ঢেলা দিয়ে চাপা দেওয়া অবস্থায় আরাধার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মোবাইলের মাধ্যমে মুক্তিপণ চাওয়ার নম্বর ও তথ্যে আসামীদের গ্রেফতার করলে তাদের জবানবন্দিতে ৫জন আসামী অভিযুক্ত হয়।
এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক দীর্ঘ সময় উভয় পক্ষের শুনানি শেষে মঙ্গলবার দুপুরে এ রায় প্রদান করেন। রায়ে ৫জনকেই অপহরণ করে হত্যার অভিযোগে যাবজ্জীবন এবং মৃত্যুদণ্ডাদেশসহ পলাতক আসামি উত্তম কুমারের ৫লাখ এবং অন্য প্রত্যেক আসামিদের ৩লাখ টাকা করে মোট ১৭লাখ টাকার অর্থদণ্ডের আদেশ দেন। অনাদায়ে আরও ২ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হবে।
এ বিষয়ে এ্যাডঃ নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল পিপি ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি ফিরোজা চৌধুরী বিষয়গুলো নিশ্চিত করেছেন।
মোবাইল থেকে খবর পড়তে অ্যাপস ডাউনলোড করুন