১ বাবা, ২৭ মা, ১৫০ ভাইবোনের বিশাল পরিবারের
কানাডার অন্যতম পরিচিত বহুগামী ব্যক্তি উইনস্টোন ব্ল্যাকমোর। ৬৪ বছরের এই ব্যক্তির...
বিস্তারিতলিবিয়ার দীর্ঘদিনের শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে উৎখাত ও হত্যার প্রধান ষড়যন্ত্রী মাহমুদ জিবরিল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মিসরের রাজধানী কায়রোর একটি হাসাপতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গত দুই সপ্তাহ ধরে তিনি ওই হাসপাতালে ভর্তি। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর।
জানা গেছে, সর্বশেষ তিনি মিশরের রাজধানী কায়রোতে অবস্থান করছিলেন। সেখানেই তিনি করোনায় আক্রান্ত হন। মিশরে মার্কিন সমর্থিত সেনা সরকার অবশ্য তার চিকিৎসার কোনো ত্রুটি করেনি। তাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ওই চিকিৎসায় তিনি কিছুটা সেরে উঠলেও রোববার হঠাৎ অবস্থার অবনতি ঘটে এবং এক পর্যয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
খবর এএফপি ও আলজাজিরার
২০১১ সালে তিউনিশিয়ায় স্বৈরাচারি বেন আলী সরকারের পতন হলে পশ্চিমারা এটিকে আরব বসন্ত নাম দিয়ে অন্যান্য দেশেও সরকার বিরোধী আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা করে।লিবিয়ায় এই আন্দোলনের ভাড়াটিয়া হিসেবে বেছে নেওয়া হয় গাদ্দাফির ঘনিষ্ট এবং তার অর্থনৈতিক উপদেষ্টা জিবরিলকে।
বিশ্বাসঘাতক মাহমুদ জিবরিলকে সামনে রেখে পশ্চিমা মদত এবং তাদের আর্থিক ও সামরিক সমর্থন নিয়ে গড়ে তোলা হয় বিদ্রোহীদের একটি দল। যুক্তরাষ্ট্র,যুক্তরাজ্য ও পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোর সহযোগিতায় এনটিসি গাদ্দাফি বাহিনীকে হটিয়ে একের পর এক অঞ্চল দখল করে নেয়। এক পর্যায়ে রাজধানী ত্রিপলির পতন হলে পালিয়ে যাওয়ার সময় গাদ্দাফি ও তার সঙ্গীদেরকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। যদিও জিবরিল নিজে গাদ্দাফিকে গুলি করে হত্যা করেননি, কিন্তু হত্যাকারীরা ছিল তারই অনুগত এবং তার অনুমতি নিয়েই তারা গাদ্দাফিকে হত্যা করেন। তাই জিবরিলকেই গাদ্দাফির খুনি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
মিরজাফরির পুরস্কার হিসেবে মাহমুদ জিবরিলকে পরে লিবিয়ার প্রধানন্ত্রীর পদ দেওয়া হয়। তবে তিনি ওই পদে বেশি দিন থাকতে পারেননি। দেশের মধ্যে নানা উপদলীয় কোন্দল চলতে থাকলে সরকারের অবস্থা নাজুক হয়ে যায়। প্রয়োজন ফুরিয়ে যাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র আর পাশে থাকেনি বলে কিছুদিনের মধ্যেই তাকে ক্ষমতা ছাড়তে হয়। এক সময় দেশ ছেড়েও তাকে চলে যেতে হয়।
মোবাইল থেকে খবর পড়তে অ্যাপস ডাউনলোড করুন