১ বাবা, ২৭ মা, ১৫০ ভাইবোনের বিশাল পরিবারের
কানাডার অন্যতম পরিচিত বহুগামী ব্যক্তি উইনস্টোন ব্ল্যাকমোর। ৬৪ বছরের এই ব্যক্তির...
বিস্তারিত২০২০ ফিফা বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ কাতার৷ শুধু অর্থনৈতিক ভাবেই নয়, ফুটবলীয় দিক থেকেও ইতোমধ্যে বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তির তকমা পেয়েছে দেশটি, যার পেছনে রয়েছে কাতারের শক্তিশালী ঘরোয়া লিগ আর দীর্ঘ বছরের পরিকল্পনার বাস্তবায়ন।
মধ্যপ্রাচের অন্যতম সম্পদ আর সমৃদ্ধশালী দেশ কাতার সম্প্রতি সারাবিশ্বের কুর্নিশ আদায় করেছে ফুটবলের মাধ্যমে। শুধু ২০২২ ফিফা বিশ্বকাপের স্বাগতিকই নয় এশিয়ার বর্তমান চ্যাম্পিয়নও তারা। খেলেছে সবশেষ কোপা আমেরিকাতেও।
কিন্তু হঠাৎ করেই কি এমন আলাদিনের চেরাগ পেলো কাতার যাতে তাদের ফুটবলে এমন অভূতপূর্ব পরিবর্তন? উত্তরটা খুঁজতে হলে যেতে হবে ১৭ বছর আগে ২০০৩ সালে।
ঘরোয়া ফুটবলীয় কাঠামোকে আরো শক্তিশালী করতে বিনিয়োগ করা হয় ১ কোটি ইউএস ডলার, ঢেলে সাজানো হলে স্টেডিয়ামগুলো দর্শকদের আগ্রহী করে তুলতে সে সময়ের এশিয়ার রেকর্ড টেন্সফারে উড়িয়ে আনা হলো পেপ গার্দিওলা, ফ্রাঙ্ক ডি বোয়ার, গ্যাব্রিয়েল বাতুস্ততার মতো ফুটবলারকে৷
১৯৬৩ সালে শুরু হওয়া কাতারের সর্বোচ্চ ঘরোয়া লিগ' স্টার্স লিগে বর্তমানে অংশ নিচ্ছে ১২টা ক্লাব৷ এ পর্যন্ত টাইটেল জিতেছে ৮টা দল, সবচাইতে বেশি আল সাদ এসসি ১৪বার উঁচিয়ে ধরেছে শিরোপা।
দর্শকপ্রিয়তা কাতারের লিগের অন্যতম বড় শক্তি৷ আরবের শেখরা শুক্রবার সন্ধ্যাটা আয়েশ করে স্টেডিয়ামে গিয়ে ম্যাচপ্রতি গড় দর্শক ছাড়ায় ৫ হাজার। তবে চিত্র বদলে যায় দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আল সাদ আর আর আহলির মধ্যকার ম্যাচে।
কোন দেশের সর্বোচ্চ তিনটি ক্লাব স্টার্স লিগ থেকে খেলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। এ পর্যন্ত কাতারের দুটো ক্লাব জিতেছে এ টাইটেল। লিগে তিন বিদেশি সাইনিংয়ের অনুমতি থাকলেও ফুটবলারদের মানের দিক থেকে স্টার্স লিগ ছাড়িয়ে গেছে মধ্যপ্রাচ্যের অন্য দেশকে৷ আসরে গড় গোল প্রায় সাড়ে তিনখানা৷ গেলো মৌসুমে এএফসির লিগগুলোর সর্বোচ্চ ৩৯টি গোল করেছিলেন আল সাদের আলজেরিয়ান স্ট্রাইকার বগদাদ বানৌজা৷
মোবাইল থেকে খবর পড়তে অ্যাপস ডাউনলোড করুন