ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসকে নিয়ে মানহানিকর বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে দুই মামলার একটি খারিজ ও আরেকটি প্রত্যাহার করেছেন আদালত।
গত ১১ জানুয়ারি মানহানির অভিযোগে একই আদালতে এ দুটি মামলার আবেদন করেন কাজী আনিসুর রহমান ও অপর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সারওয়ার আলম। বিচারক বাদীর জবানবন্দি গ্রহণের পর মামলা দুটি আদেশের জন্য রেখেছিলেন। কিন্তু এদিন বাদী কাজী আনিসুর রহমান আদালতে হাজির না হওয়ায় আদালত মামলা খারিজের আদেশ দেন। অপরদিকে অ্যাডভোকেট মো. সারওয়ার আলম গত ১২ জানুয়ারি তার মামলা প্রত্যাহার করে নেন।
মামলার আর্জিতে বলা হয়, ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসকে নিছক হয়রানিসহ মান-সম্মান ক্ষুণ্ন করে দেশ ও সমাজে হেয় প্রতিপন্ন এবং রাজনৈতিক জনপ্রিয়তাকে নস্যাৎ করার উদ্দেশে গত ৯ জানুয়ারি হাইকোর্ট এলাকার কদম ফোয়ারার সামনে ফুলবাড়ীয়া মার্কেট উচ্ছেদ হওয়া ব্যবসায়ীদের মানববন্ধনে অংশ নেন। মানববন্ধনে সাঈদ খোকন বলেন, ‘তাপস ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে গলাবাজি করে চলেছেন। আমি তাকে বলবো, রাঘববোয়ালের মুখে চুনোপুঁটির গল্প মানায় না। কেননা দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়তে হলে সর্বপ্রথম নিজেকে দুর্নীতিমুক্ত করতে হবে। অথচ তিনি উল্টো কাজ করছেন। তিনি বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের পর তাপস ডিএসসিসির শত শত কোটি টাকা তার নিজ মালিকানাধীন মধুমতি ব্যাংকে স্থানান্তর করেছেন।
তার এই বক্তব্য বাংলাদেশের জাতীয় পত্রিকা, ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন শিরোনামে প্রকাশিত হয়। এতে ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের বিরুদ্ধে মানহানিকর বক্তব্য প্রকাশ করে আসামি সাঈদ খোকন দণ্ডবিধি আইনের ৫০০ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।