মানুষের দেহের অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি রাসায়নিক উপাদান হরমোন। দেহের ভাঙ্গা-গড়াসহ সমগ্র বিপাকীয় ক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে হরমোন।
হরমোনের ভার্যসাম্যহীনতাকে নীরব ঘাতক বলা হয়। এটির কারণে নারীরা অনেক সময় মারাত্নক রোগে ভুগে থাকেন। সাধারণত ৪০-৫০ বছরের মহিলাদের হরমোনের ব্যাপক পরিবর্তন হয়ে থাকে। তবে কিছু কিছু মহিলাদের ৩০ থেকে ২০ বছরের বয়সে হরমোনে পরিবর্তন হয়ে থাকে। বিভিন্ন কারণে এই পরিবর্তন হতে পারে।
প্রায় সময় আমরা হরমোনের ভারসাম্যহীনতার লক্ষণগুলোকে অগ্রাহ্য করে থাকি সাধারণ সমস্যা মনে করে। শুরুতে যদি এর চিকিৎসা করা যায়, তবে এই মারাত্নক কিছু রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
জেনে নিন হরমোনের কিছু ভারসাম্যহীনতার লক্ষণ-
ওজনে পরিবর্তন:
দেহের ওজন হঠাৎ করে পরিবর্তনের জন্যও হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দায়ী।
ক্ষুধা বৃদ্ধি:
হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে ক্ষুধা বৃদ্ধি পেতে বা কমে যেতে পারে। এর পেছনে থাকতে পারে লেপটিন ও গ্রেলিন নামের দুটি হরমোন।
ঘন ঘন মাথা ব্যথা:
কোনো কারণ ছাড়াই যদি ঘন ঘন মাথাব্যথা হয়, তাহলে এর পেছনে হরমোনের জটিলতা থাকতে পারে। মানসিক চাপের কারণে এস্ট্রোজেন হরমোনের ভারসাম্যহীনতা হতে পারে।
অনিদ্রা:
অনিদ্রার পেছনেও থাকতে পারে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা।
হঠাৎ ব্রণ:
ত্বকে হঠাৎ ব্রণ বা ব্ল্যাকহেড দেখা দিতে পারে হরমোনের অস্বাভাবিকতার কারণে। এর মধ্যে আছে অ্যান্ড্রোজেন হরমোনের নিম্নমাত্রা বা অন্য কোনো হরমোনজনিত অস্বাভাবিকতা।
চুল পড়া:
হরমোনের কারণে দেহের চুল পড়া বাড়তে পারে। দেহের থাইরয়েড হরমোন, ইনসুলিন ও টেস্টোস্টেরন হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে চুল পড়তে পারে।
ঘাম বৃদ্ধি:
হরমোনের ভারসাম্যহীনতার আরেকটি লক্ষণ হতে পারে দেহের ঘাম বৃদ্ধি। হরমোন দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। হরমোনের ভারসাম্যহীনতায় তাপমাত্রার পার্থক্য হয় এবং এতে শরীরে ঘাম হতে পারে।
হজমে সমস্যা:
সাবধানে খাবার খাওয়ার পরেও ঘন ঘন হজমে সমস্যা হলে এর পেছনে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দায়ী থাকতে পারে।