আরও দুই আসামির স্বীকারোক্তি:এমসি কলেজে গণধর্ষণ

সিলেটের মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজে গণধর্ষণের ঘটনায় করা মামলার আরও দুই আসামি ও ছাত্রলীগ নেতা তারেকুল ইসলাম তারেক(২৮) এবং মাহফুজুর রহমান মাসুম(২৫) আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। 

রোববার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। সিলেট নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি প্রসিকিউশন) অমূল্য কুমার চৌধুরী সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে রোববার বেলা আড়াইটার দিকে তাদের পুলিশি পাহারায় সিলেটের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমানের আদালতে হাজির করা হয়। তারা ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলে আদালত তাদের প্রত্যেককে রিফ্রেশমেন্টের জন্য সময় দেন। 

আদালত সূত্র জানায়, তারেকুল ইসলাম তারেক অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমানের আদালতে ও মাহফুজুর রহমান মাসুম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-২ সাইফুর রহমানের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন এবং মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-তৃতীয় আদালতে শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রণিকে হাজির করা হলে বিচারক শারমিন খানম নীলা তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। 

উল্লেখ্য, এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত ছাত্রলীগ নেতা সাইফুর, তারেক, অর্জুন, রবিউল, রনি ও মাসুমকে এজাহারভুক্ত আসামি করে মামলা করা হয়। মামলার এজাহারের বাইরে আরও দুই-তিনজনকে আসামি করা হয়। নগরীর বাইরে পলাতক থাকা অবস্থায় মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করে জেলা পুলিশ ও র্যা ব-৯। মামলায় এজাহারভুক্ত ছয় আসামিসহ গ্রেপ্তার হওয়া মোট আটজনই আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। 

House 57, Road-8, Block-D, Niketon, Gulshan-1, Dhaka, Bangladesh, ফোন: ৮৮ - ০১৯৭৪৫৫০০৯১