রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে শরীর সুস্থ রাখতে ভিটামিন ডি এর ভূমিকা অনেক। বিশেষ করে শীতের সময় ভিটামিন ডি শরীরের জন্য খুব জরুরি। সমস্ত ভিটামিনই খুব জরুরি। তার মধ্যে ভিটামিন ডি অন্যতম। এই ভিটামিনের ঘাটতির কারণে শীতে হাড়ের সমস্যা ও ফ্লু এর সমস্যা দেখা দেয়। ভিটামিন ডি এর অন্যতম উৎস সূর্যালোক। এছাড়া এই ভিটামিন মেলে এমন কিছু খাবারও রাখতে পারেন পাতে।
ভিটামিন ডি-এর অভাবে হাড়ের অসুখ, পেশিতে ব্যথা, হাই প্রেশার হরমোনের সমস্যায় ভোগার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও কোমরে ব্যথা, সারাদিন ক্লান্তি বোধ এগুলিও লেগেই থাকে। ভিটামিন ডি সূর্যের আলো থেকে পাওয়া যায়।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ভিটামিন 'ডি' জাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। তবে আমরা অনেকেই জানি না যে কীভাবে ভিটামিন 'ডি' গ্রহণ করবো।
ডিমের কুসুম: ভিটামিন ডি এর খুব ভালো উৎস হলো ডিমের কুসুম। অন্য সব পুষ্টি উপাদানও আছে ডিমের কুসুমে। ডিমের সাদা অংশে প্রোটিন আর কুসুমে ফ্যাট ও মিনারেল পাওয়া যায়।
দুধ: এক গ্লাস গরম দুধ আপনার ভিটামিন ডি এর চাহিদা পূরণ করতে পারে। শীতের সময়টায় গরম দুধের সাথে একটু হলুদের গুঁড়ো মিশিয়ে পান করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।
দই: ভিটামন ডি এর আরেকটি ভালো উৎস হলো দই। এটি বেশ স্বাস্থ্যকর, হজমের জন্য উপকারী। এছাড়া হাড় যেমন মজবুত করে দই, তেমনি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়।
ওটমিল: ভিটামিন ডি এর দারুণ এক উৎস ওটমিল। এতে মিনারেল ও অন্য ভিটামিনও আছে। ব্রেকফাস্টে দুধের সাথে ওটমিল মিশিয়ে খাওয়া বেশ স্বাস্থ্যকর। শস্য হিসেবে ওটমিল ডায়াবেটিসও নিয়ন্ত্রণ করে।
মাশরুম: মাশরুমের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি। এই মাশরুমে রয়েছে ভিটামিন ডি।পরটোবেললো মাশরুম সূর্যের আলোয় বড় হয়, এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ডি। নিয়মিত মাশরুম খেতে পারেন।
কমলার জুস: ভিটামিন ডির জন্য ভালো ব্র্যান্ডের জুসও খেতে পারেন। তবে খাওয়ার আগে প্যাকেটের গায়ে দেখে নিন, কী কী উপাদান দিয়ে তৈরি।
বিভিন্ন ধরনের মাছ: বিভিন্ন মাছে রয়েছে ভিটামিন ডি। স্যালমন, সারদিনস, টুনা, ম্যাককেরেলে পাবেন ভিটামিন ডি। দৈনিক ভিটামিন ডির চাহিদার ৫০ শতাংশ পূরণ হতে পারে একটি টুনা মাছের স্যান্ডউইচ বা তিন আউন্স ওজনের একটি স্যালমান মাছের টুকরো থেকে।