ভারত থেকে উপহার হিসেবে পাঠানো করোনা ভ্যাকসিন বাংলাদেশে পৌঁছেছে।
বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) বেলা ১১টা ২০ মিনিটের দিকে এয়ার ইন্ডিয়ার বিশেষ বিমানে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসে করোনার ভ্যাকসিনের প্রথম চালান। নয়াদিল্লির উপহার সেরামের তৈরি অক্সফোর্ডের ২০ লাখ ডোজে এতে রয়েছে। বিমানবন্দরের একাধিক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ভ্যাকসিন হস্তান্তর করা হবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের কাছে ভারতের রাষ্ট্রদূত বিক্রম দোরাইস্বামীর এসব টিকা তুলে দেওয়ার কথা। বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, টিকাগুলো বিমানবন্দর থেকে সরাসরি তেজগাঁওয়ে ইপিআইয়ের স্টোরেজে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখানে সংরক্ষণ করা হবে।
ঢাকা জেলার সিভিল সার্জন আবু হোসেন মো. মইনুল আহসান বলেন, তেজগাঁওয়ের ইপিআইয়ের গুদামঘরে টিকা সংরক্ষণ করা হবে। আমাদের ৫০ লাখ ভ্যাকসিন রাখার সক্ষমতা আছে। ইতোমধ্যে দুটি ফ্রিজার খালি করা হয়েছে। প্রতিটি ফ্রিজারে ২০ লাখ ভ্যাকসিন রাখা যায়।
এছাড়া ২৫ জানুয়ারি বাংলাদেশের কেনা ভ্যাকসিনের প্রথম চালান আসবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক জুয়েনা আজিজ। এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান বাংলাদেশের কিনে নেওয়া ৫০ লাখ টিকা আগামী ২৫ থেকে ২৬ জানুয়ারির ভেতরে আসবে।
বুধবার দুপুরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, টিকা আসার পরপরই ভ্যাকসিন কর্মসূচি শুরু করে দেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যসচিব মো. আবদুল মান্নান জানান, চলতি মাসেই কুর্মিটোলায় হাসপাতালে ফ্রন্টলাইনারসহ ২৫ জনকে দিয়েই শুরু হবে কার্যক্রম। পরদিন তিনটি হাসপাতালে থেকে দেওয়া হবে আরও চার থেকে ৫০০ জনকে। এদের কয়েক দিন নজরদারিতে রেখে শুরু হবে মূল কার্যক্রম।
প্রথম মাসে ৬০ লাখ ডোজ দ্বিতীয় মাসে ৫০ লাখ আবার তৃতীয় মাসে প্রথম মাসের প্রথমবারে যারা নিয়েছেন সেই ৬০ লাখ পাবেন দ্বিতীয় ডোজ। সরকারি হাপাতালের বাইরে দেওয়া হবে না ভ্যাকসিন। অ্যাপ ছাড়া ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আসা সম্ভব না। তবে প্রতিরোধক্ষমতা বা অ্যান্টিবডি কত দিন থাকবে সেটা নিশ্চিত করা সম্ভব না বলে জানান তিনি।
জানানো হয় ভ্যাকসিন নেওয়া সবাই টেলিমিসিনের আওতায় থাকবে। প্রতিদিন ভ্যাকসিন বুলেটিন প্রচার করা হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।